এরমধ্যেই এ পণ্যের সুবিধাভোগীদের তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তৈরি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বরিশাল থেকে টিসিবির পণ্য ট্রাকে করে পৌঁছেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সুষ্ঠ বণ্টনের জন্য সেখানেই টিসিবি পণ্যের প্যাকেট করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন ও এনডিসি বশির গাজী।
ঝালকাঠির এনডিসি মো. বশির গাজী জানান, প্রথম কিস্তিতে ৫৮ হাজার পরিবারের মাঝে ন্যায্যমূল্যে দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় দফায় এ পণ্যের সঙ্গে দুই কেজি ছোলা যুক্ত করা হবে। চিনি প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও তেল ১১০ টাকা করে বিক্রি হবে। অল্প আয়ের মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন তালিকা করে কার্ড বিতরণ করবে। এ পণ্য তালিকাভুক্ত পরিবারগুলো কিনতে পারবে।
ঝালকাঠিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার লিটার সোয়াবিন তেল, এক লাখ ৯ হাজার কেজি করে অন্যান্য পণ্য মজুদ রয়েছে। এরপূর্বে এ পণ্য বরিশাল থেকে ডিলারদের মাধ্যমে আনা হয়। ডিলাররাই এ পণ্য তালিকাভুক্ত পরিবারের মাঝে বিক্রি করবেন। কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হলে নিরাপদে গ্রাহক তার পণ্য কিনে নিতে পারবেন। পাশাপাশি ডিলাররা কাউকে কম বেশি দেওয়ারও সুযোগ পাবেন না। রমজানে এসব পণ্যের সঙ্গে ছোলাবুট থাকবে বলেও জানান এনডিসি বশির গাজী।