কী প্রক্রিয়ায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই অনুমোদন দেওয়া হবে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তা নির্ধারণ করে দিয়ে শিগগিরই নির্দেশনা জারি করবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইউজিসি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশে এখন ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন থাকলেও বেশ কয়েকটিতে এখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি শুরুর পর তার মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ উদ্যোগ নেওয়ার পর দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে গত ৬ এপ্রিল নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি।
এই সময়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের গ্ৰেডিং ‘বিধি সম্মত নয়’ জানিয়ে এসব কার্যক্রমও বন্ধ রাখারও আহ্বান জানিয়েছিল কমিশন।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও অনেক দিন বন্ধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উপর অনেকেই জোর দিয়েছেন।
কীভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হবে ইউজিসি সে বিষয়ে শিগগিরই একটি নির্দেশনা জারি করবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সভায় বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“ছুটি কমিয়ে আনা, ক্যাম্পাস খোলার পর ছুটির মধ্যে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সেশনজট কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।”