এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ৮ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে সেনা কল্যাণ সংস্থা।
ইতিমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সেনা কল্যাণ সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এসবিপি, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসিজি এর নির্দেশক্রমে এবং সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হকের নেতৃত্বে সংস্থাটি শুরু থেকেই সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনসহ ৫ কোটি ১০ লাখেরও বেশি টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছে।
এছাড়া আশকোনা হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে বিভিন্ন ব্যবহার্য সরঞ্জামাদিসহ ১৫০ শয্যা প্রদান ও স্থাপন করে দিয়েছে সেনা কল্যাণ সংস্থা।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে পড়ায় কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝেও নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করছে সংস্থাটি।
পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলালিংক, ওয়ালটন গ্রুপ, ফিনিক্স গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, মোংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মত দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সেনা কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই সংস্থাটি ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বর্তমানে সংস্থাটি সামরিক বাহিনী হতে অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের কল্যাণমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।