করোনা নিউমোনিয়া হিসেবে অ্যাসপিরিনের ব্যবহার করা হয়।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত বেশ কিছু রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হয় অ্যাসপিরিনের। প্রথমত রোগীদের “সামান্য, কমন, তীব্র এবং গুরুতর” এই চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। পরে কমন এবং তীব্র রোগীদের দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। সেগুলো হল: ১. নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া (এনসিপি) স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গ্রুপ, ২. এনসিপি অ্যাসিপিরিন গ্রুপ।
এনসিপি অ্যাসিরিন গ্রুপের রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর “অ্যাসপিরিন ১০০এমজি দেওয়া হয়। এতে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন এবং হাসপাতাল ছাড়ার পর তাদেরকে আরও ১৪ দিনের জন্য এই ওষুধ দেওয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়, অ্যাসপিরিন প্রয়োগের ফলে অনেক রোগী সুস্থ হয়েছেন। এই ওষুধ অ্যান্টি ভাইরাল হিসেবে ফুসফুসে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করে। এর প্রয়োগের ফলে করোনা রোগীদের হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
উল্লেখ্য, অ্যাসপিরিন এক প্রকারের ওষুধ যা সাধারণত ব্যথা, জ্বর ও প্রদাহে ব্যবহৃত হয়। এর উপাদান হল অ্যাসিটাইল-স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। অনেক প্রাচীন কাল হতে এর ব্যবহার রয়েছে। জার্মান কোম্পানি বেয়ার এর রসায়নবিদ ফেলিক্স হফম্যান ১৮৯৭ সালে এটি উৎপাদনের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এটি মূলতঃ অ্যান্টিবায়োটিক রূপে ব্যবহৃত হয়।