বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি বলছে, কোভিডের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে আছে। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে যদি পোশাক রপ্তানির বাজার অংশীদারত্ব ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বেশি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। মালদ্বীপের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, ভুটানের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আফগানিস্তানের জন্য এ বছর কোনো প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাবের ঘাটতি বড় হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পৃক্ততা নেই। তাই প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন, নিত্যপণ্যের বাজার। নিত্যপণ্যের বিশ্ববাজার কোন দিকে যাচ্ছে, সেটার ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। তিনি বলেন, কোভিড সংকট মোকাবিলা করে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে দারিদ্র্যহার কমেছে।