আগামী বছর ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানের দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের পাশে নিয়ে বিজেপি হটানোর মহা সমাবেশের কথাও ঘোষণা করেন মমতা ব্যানার্জি।
মমতা এদিন বলেন, বিজেপির আস্থা ভোটে জিতে গেলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনের ১৫০টি বেশি আসন পাবে না। এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে শূন্য করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একই ৪২ আসনে জয় পাবে বলেও মমতা প্রতিশ্রুতি করান দলের নেতা-কর্মীদের।
২১ জুলাই প্রায় ৩০ লাখ মানুষ কলকাতার এই মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। মমতা বলেন, বৃষ্টি উপেক্ষা করে, নানা প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ এসেছেন। সবাইকে আগামী বছর বিজেপিকে হঠানোর প্রতিজ্ঞা করতে হবে। ২০১৯ সালে বিজেপির বিদায় হবে দেশ থেকে।
বিজেপি রাজ্যের নেতাদের মুখের ভাষা নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন মমতা ব্যানার্জি। মমতা ভাষায়, নিশ্চয় তাদের মা জন্মের পর সবার মুখে মধু দিয়েছিলেন। কিন্তু কি করা তারা পরবর্তীতে এই ধরনের অপদার্থ হিসেবে বেড়ে উঠেছেন। জিহ্বার জায়গা আল-জিহ্বা বেড়ে উঠেছে তাদের।
বিজেপি, আরএসএস পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা বাধানোর ছক কষেছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, রাজ্যের থানা এলাকা গুলোতে বহিরাগতরা ঢুকছে। আরএসএস তাদের ঢুকিয়ে দিয়ে রাজ্যে টাকা ঢালছে। দাঙ্গার ছক কষছে।
বিজেপি হিন্দুত্বাবাদকেও কোনোভাবে সমর্থন করেন না বলেও সাফ জানান মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকে তলোয়ারের হিন্দু, বোমা-বন্দুকের হিন্দু বলেও কটাক্ষ করেন।
ত্রিপুরায় বিজেপি জয়কে কলকাতার পাশের জেলা হাওড়া পৌরসভা এলাকার জয় বলেও বিজেপিকে খোঁচা দেন মমতা। ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে কংগ্রেসের সাহায্য চাওয়া হলে সেটা পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে তৃণমূলের তৎকালীন নেতা মুকুল রায়কে ত্রিপুরার দায়িত্ব দেয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেয়ার ছক ছিল দেখে দলের সঙ্গে সে গাদ্দারী করেছে বলেও ইঙ্গিত দেন মমতা ব্যানার্জি।
আগামী এক বছরের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক দিশা দেখান মমতা ব্যানার্জি। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে গত সাত বছরের তার সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও করেন মমতা ব্যানার্জি।