পরিচয়পত্র পেশের সময় রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামানকে মঙ্গোলীয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামানের সহধর্মিনী শাহরীন মুর্শেদ এবং চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব পারুল দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মাহবুবুজ্জামানকে মঙ্গোলিয়া সরকার কর্তৃক আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পরিচয়পত্র পেশের পর মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে মঙ্গোলিয়ান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতকে মঙ্গোলিয়া সরকারের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন যাতে রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদে তার দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান বলেন, এই বছরটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী। বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে যে, মঙ্গোলিয়া ১৯৭২ সালের জুন মাসে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে ছিল।
ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনার বিশাল সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে দাবী করে তিনি মঙ্গোলিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এবং এর স্বল্পমূল্যের উৎপাদন ভিত্তিসহ অনুকূল অবস্থানের সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
এর আগে ২৬ এপ্রিল রাষ্ট্রদূত মঙ্গোলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিস ব্যাটসেটসেগ বাটমুংখের সাথে দেখা করেন।
আন্তরিকতা ও উষ্ণতার মধ্য দিয়ে বৈঠকে বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমগ্র ধারাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।