রামগঞ্জ উপজেলার ৪টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বমুফতি মাওলানা ইছহাক চৌধুরীর (রা.) অনুসারী হিসেবে ৪৫ বছর ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা।
জানা যায়, সকাল ৭টায় রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ৯টায় পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
সূত্র জানায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে। তারা পৃথকভাবে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল কাদের, মো. হোসেনসহ কয়েকজন মুসল্লি জানান, তারা পূর্বপুরুষের নিয়ম অনুযায়ী রোজা ও ঈদ করে আসছেন। সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা রাখেন, আবার সৌদির সঙ্গে মিল রেখেই রোজা ভাঙেন তারা।
পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুসল্লি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও একবার চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে। তাই এখন আর চাঁদ দেখার প্রয়োজন অনুভব করা হচ্ছে না। সৌদি আরবে শুক্রবারে জুমা হয়, এখানেও হয়। শুধু ঈদ আর রোজা নিয়েই পার্থক্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব তালিমুল কোরআন মাদরাসার ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রতিটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।