বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে যেসব বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, সেসবের চালান পাঠানো যাবে; তবে শনিবার থেকে গম রপ্তানি বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোনো ক্রেতার অর্ডার আর নেওয়া হবে না।
এছাড়া কোনো দেশ যদি বিশেষ ভাবে ভারতের সরকারের কাছে গম পাঠানোর অনুরোধ করে, সেক্ষেত্রেও রপ্তানির বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে।
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রপ্তানিতে শীর্ষ দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গমের চালান আসা প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই চলছে এই অবস্থা।
গম উৎপাদনে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন, তারপরই ভারতের অবস্থান। এ কারণে কৃষ্ণ সাগর থেকে গমের চালান আসা বন্ধ হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দিক থেকে ভারতের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
কিন্তু গত মার্চের তাপপ্রবাহের কারণে চলতি মৌসুমে ভারতে গমের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, দেশটিতে বিপজ্জনক হারে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এই অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাধ্য হয়েই গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।