এদিন গমের মিসরগামী একটি চালানেরও ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চালানটি এরই মধ্যে কান্ডালা বন্দরে লোড করা হচ্ছিল। মিসর সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে সেটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেসার্স মিরা ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৬১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম মিসরে রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪৪ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন গম এরই মধ্যে জাহাজে তোলা সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, দেশীয় বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলে গত শুক্রবার (১৩ মে) গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। তবে প্রতিবেশী ও খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে থাকা কিছু দেশকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। এর বাইরে, অন্যান্য দেশের সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষেও গম রপ্তানির সুযোগ রেখেছে নয়াদিল্লি।
ভারতের এ নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে গমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন নিশ্চিত করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের গম রপ্তানি বন্ধ হচ্ছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতে গম রপ্তানির ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা’র খবর প্রকাশিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, খাদ্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত মূল্যস্ফীতি কমানো এবং ভারতের প্রতিবেশী ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা অন্য দেশগুলোর চাহিদা পূরণে সহায়তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতে গম রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ চালানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই নির্দেশাবলী ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও গম রপ্তানি আটকাবে না।
পাশাপাশি, অন্য যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় গম আমদানি করতে ইচ্ছুক, সেসব দেশের সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষেও গম রপ্তানি চলবে।