চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, এদিন করা পরীক্ষায় ১৫ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলার ১২ জন এবং নোয়াখালী জেলার তিনজন রয়েছেন।
চট্টগ্রামের ১২ জনের মধ্যে একজন ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অবস্থায় শুক্রবার মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।
চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়াদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ছয় সদস্য আছেন বলে পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ জানিয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে খুলশী থানার একজন এএসআই, সদরঘাট থানার একজন কনস্টেবল, বন্দর ট্রাফিক বিভাগের একজন সার্জেন্ট, তার স্ত্রী ও ছোট ভাই রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে এ পর্যন্ত ২৯ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন।
চট্টগ্রামের বাকি আক্রান্তদের সীতাকুণ্ডের কালুশাহ নগর এলকার একজন, নগরীর নেভি হাসপাতাল গেইট এলাকার একজন এবং ঈদগাঁ বড়পুকুর এলাকার একজন রয়েছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শনিবার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে সাতটিতে করোনাভাইরাসের সক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জেলা সিভিল সার্জন জানান।
তিনি জানান, এদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার এবং বাকি ছয়জন লক্ষ্মীপুর জেলার।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেও শনিবার থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুরুর দিনে ছয়টি নমুনা পরীক্ষা হয় জানিয়ে জেলা সিভিল সার্জন বলেন, তাদের কারও করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, সিভাসু ও চট্টগ্রাম মেডিকেলের ল্যাবে হওয়া নমুনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত ২১৭ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।