সম্প্রতি বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন স্বাভাবিক বিলের সঙ্গে সরকারি ছুটি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডলিংয়ের দ্বিগুণ বিল করেছে। এতে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিসিএমএর পক্ষ থেকে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিসিএমএ প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের ফলে দেশে নির্মাণকাজ নেই বললেই চলে। ফলে সিমেন্টের উৎপাদন প্রায় ৯০ শতাংশ বন্ধ হওয়ার পথে। এ অবস্থায় শিল্প পরিচালনা করে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাড়তি বিলের কারণে সিমেন্ট কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এ মুহূর্তে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সিমেন্ট শিল্প টিকে থাকলে উৎপাদন বাড়বে এবং বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের আয়ও বাড়বে। এ অবস্থায় সিমেন্ট শিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনকে শিপ হ্যান্ডলিং বিল দ্বিগুণ করা থেকে বিরত রাখার জন্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে অনুরোধ জানিয়েছে বিসিএমএ।
প্রসঙ্গত, গত মাসে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টদের বর্ধিত বিলের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি ছুটি চলাকালে জাহাজে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের দ্বিগুণ হারে মজুরি দিতে হবে। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের বর্ধিত হারে বিল পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে।