সোমবার (১১ মে) রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক অনলাইন বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিজস্ব সূত্রের বরাতে জানিয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সময়ে খাবার ও ওষুধ কেনার মতো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। ২১ দিনের মেয়াদ শেষের পর দ্বিতীয় দফায় তা আবারও বাড়ানো হয়। পরে আরও এক দফা বাড়ানোর পর আগামী ১৭ মে বর্তমান মেয়াদের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মে) মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে প্রচলিত বিধিনিষেধে কোন ধরনের পরিবর্তন আনা যায় সেই বিষয়ে আগামী ১৫ মে’র মধ্যে পরামর্শ পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রীদের অনুরোধ জানান তিনি। ভারতে যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ ও রাতের বেলায় কারফিউ আরোপের মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এছাড়া যেসব এলাকায় আক্রান্ত পাওয়া যায়নি সেগুলোকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি জোরালো ভাবে মনে করি লকডাউনের প্রথম ধাপে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা দ্বিতীয় ধাপে দরকার পড়েনি আর একইভাবে তৃতীয় ধাপের পদক্ষেপগুলো চতুর্থ ধাপে দরকার পড়বে না।’
লকডাউনের কারণে অচল হয়ে পড়া ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী। সংক্রমিত অঞ্চল বাদ দিয়ে অন্যান্য অংশ খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রিলের শেষ দিকে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগের বৈঠকের পর ‘গ্রিন জোন’ ঘোষিত এলাকাগুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সোমবার পর্যন্ত ভারতে ৬৭ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বর্তমান হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী ১৭ মে’র আগে আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে ভারত।