এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সরকারি অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার ( ১১ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কথা বলা হয়। ওই চিঠিতে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ১৩টি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মনে করিয়ে দিতে এবং মেনে চলছেন কিনা তা মনিটরিং করতে ভিজিল্যান্স টিম পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি অফিসগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। অফিস চালুর আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ, বারান্দা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
সেখানে আরও বলা হয়, অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে সার্জিক্যাল মাস্ক বা তিন পরতের কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে। সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্কের ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, তা ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং করতে হবে। কোনও কর্মচারী অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।