করোনার নিরাপদ ও কার্যকর টিকা, পরীক্ষা এবং প্রতিরোধের ওষুধ উদ্ভাবনে বৈশ্বিক তৎপরতার নেতৃত্ব দিচ্ছে জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএইচও। শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা তৈরি করা এই ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘আমরা কিছু চিকিৎসা পেয়েছি, সেগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এগুলো রোগের তীব্রতা এবং অসুস্থতার মেয়াদ কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু পাওয়া যায়নি যা ভাইরাসটিকে মেরে ফেলতে কিংবা থামিয়ে দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য ইতিবাচক তথ্য পাচ্ছি, তবে শতভাগ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগুলো থেকে একটি বেছে নিতে আমাদের আরও তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে।’
তবে করোনার কোনও ওষুধের নাম বলেননি ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস। তবে ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলাড সাইন্স বলছে, তাদের রেমডেসিভর ওষুধ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
করোনার টিকা নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা বলেন, 'ভাইরাসটি খুবই কৌশলী। সে কারণে এর বিরুদ্ধে কোনও টিকা উদ্ভাবন বেশ কঠিন।'
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা উদ্ভাবনে শতাধিক প্রচেষ্টা চলছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। গত এপ্রিলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, টিকা উদ্ভাবনে অন্তত ১২ মাস সময় লাগবে।