এগুলো হলো বিনা খরচে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা কভিড-১৯ অথবা অন্য যেকোনো স্বাস্থ্যগত বিষয়ে অনলাইন চ্যাট বা ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারি পরামর্শ নেয়া, যাতে এ প্রোগ্রামের ইউজারদের চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রয়োজনে প্রাথমিক পরামর্শের জন্য সশরীরে হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে যেতে না হয়। এই সেবাটি মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে নেয়া যাবে।
এককালীন আর্থিক সহায়তা কভিড-১৯ সংক্রান্ত কারণে আইসোলেশন, হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে মেটলাইফের একক পলিসিগ্রহীতারা ‘সাথে আছি—মেটলাইফ কভিড-১৯ কাস্টমার সাপোর্ট প্রোগ্রাম’-এ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। প্রোগ্রামটির রেজিস্ট্রেশন ৩০ দিনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রেজিস্ট্রেশন লিংক ও অন্যান্য তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এই প্রোগ্রামটি মেটলাইফ বাংলাদেশ এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পারস্পরিক সহায়তার ফল। প্রোগ্রামের প্লাটফর্মটি তৈরি করেছে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশনস ডিভিশনে প্রোগ্রামের ডাক্তারি পরামর্শ সেবা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
এ প্রোগ্রাম সম্পর্কে মেটলাইফ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ হাম্মাদুল করীম বলেন, আমাদের কাজের প্রেরণার মূলে রয়েছে গ্রাহকদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার প্রয়াস। বাংলাদেশের কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘সাথে আছি’ প্রোগ্রামটি মেটলাইফ বাংলাদেশের একটি নতুন উদ্যোগ।
মেটলাইফ ইনকরপোরেশনের অঙ্গ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেটলাইফের সমন্বয়ে বিশ্বের অন্যতম একটি আর্থিক সেবা প্রদানকারী কোম্পানি এটি যা তার ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের বিমা, অ্যানুইটি, গ্রুপ বীমা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা সেবা প্রদানের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে।
১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মেটলাইফ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মেটলাইফের এশিয়া যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে মেটলাইফ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ লাখেরও বেশি গ্রাহকের সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম বৃহৎ নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। যার রয়েছে ১৬ হাজারের বেশি সুদক্ষ কর্মী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।