ভারতে ৮৫ হাজার ৭৮৪ জন আক্রান্ত হলেও ডিসেম্বরের শেষে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ে প্রাদুর্ভাব শুরু পর দেশটির ৮২ হাজার ৯৩৩ জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার ভারতের রাজ্য সরকারগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া সবশেষ তথ্যের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দেশটির টেলিভিশন এনডিটিভি।
তাতে বলা হচ্ছে, আক্রান্তের দিক দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেল ভারত। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের বিশ্বে ভারতের অবস্থান এখন এগারোতম।
তবে প্রতিবেশী চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখনও কিছুটা কম। চীনে করোনায় মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হলেও ভারতে তা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। ভারতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩০ হাজার ২৩৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন।
অপরদিকে সামলে উঠেছে চীন। দেশটিতে এখন সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মাত্র ১০০ জন। আক্রান্ত ৮২ হাজার রোগীর মধ্যে ৭৮ হাজারের বেশি সুস্থ হলেও দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্ত ১৪ লাখ ৭৭ হাজারের মধ্যে ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
শুক্রবার ভারতজুড়ে ৪ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কাশ্মীর থেকে শুরু করে কেরালা এবং কর্ণাটক থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের। এদিকে গতকাল দেশটির চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে মোদি বলেছেন, সম্পূর্ণ ভিন্নরকম ভাবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে।
ভারতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে লকডাউন আরও বাড়াবেন বলে ঘোষণা দিলেও দেশটির চতুর্থ দফার এই লকডাউনে বিধিনিষেধ আরও বেশি শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতে সর্বাধিক আক্রান্ত মৃত্যু মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে আক্রান্ত ২৯ হাজারের বেশি; মৃত্যু সহস্রাধিক। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গুজরাটে প্রায় ১০ হাজার এবং রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে প্রায় ৯ হাজার আক্রান্ত। আর পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত প্রায় ২৪শ জনের মধ্যে ২১৫ জন মারা গেছে।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ৭ হাজারের বেশি মারা গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ১৭ লাখ ৪০ হাজার প্রায়। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে স্পেন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ব্রাজিল। আর মৃত্যুতে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রাজিল।