একই সঙ্গে বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিম্নমানের পিপিইর অনুমোদনহীন বিজ্ঞাপন এবং বিক্রি বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে নোটিশে বলা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফুটপাত এবং বাজার থেকে অনুমোদনহীন পিপিই সরাতে এবং বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে রিট করা হবে।
শনিবার (১৬ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম এই নোটিশ পাঠান। পরে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়ে সারা দেশে ফুটপাত এবং বিভিন্ন মার্কেটে নিম্নমানের পিপিই বিক্রি হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনলাইনেও বিভিন্ন পেজ খুলে এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিপিই বিক্রি হচ্ছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিপূর্ণ গাইডলাইন দিয়েছে। এ গাইডলাইন না মেনে পিপিই তৈরি করলে তা করোনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
‘ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর গত ৪ মে একটি সার্কুলার জারি করে পিপিই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমোদন নেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু এরপরও ফুটপাত, বাজার এবং অনলাইনে নিম্নমানের পিপিই বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। কিছু স্থানে হাসপাতালে ব্যবহৃত পিপিই ধুয়ে পুনরায় বিক্রি করা হচ্ছে এবং পিপিই’র নামে রেইনকোট বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ না জেনে পিপিই কিনে আরও বিপদের মধ্যে পড়ছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। কিন্তু এ নিম্নমানের পিপিই বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।’