তিনি বলেছেন, ‘এই মহামারি শেষপর্যন্ত ফাঁস করে দিয়েছে যে, দায়িত্বে থাকা অনেক লোক জানেন তারা কী করছেন। অনেকে দায়িত্ব পালনের ভানও করেন না।’
শনিবার হিস্টোরিক্যালি ব্ল্যাক কলেজেস অ্যান্ড ইউনিভার্সিটিজের একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নেতা। তার ভার্চুয়াল ভাষণটি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা মোকাবিলায় নেয়া ব্যবস্থাকে ‘পুরোপুরি বিশৃঙ্খল বিপর্যয়’ মন্তব্য করে এর কড়া সমালোচনা করেছিলেন বারাক ওবামা। এর পরপরই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্চে করোনাভাইরাস টেস্টের অপ্রতুলতার জন্য ওবামা প্রশাসনকে দায়ী করেছিলেন ট্রাম্প। ভ্যাকসিন সংকটের জন্যেও সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মোটেও দায়িত্ব নেব না। কারণ আমাদের দেয়া হয়েছে ভিন্ন একসময়ের একগুচ্ছ নিয়ম, নীতি ও পরিস্থিতি।’
যদিও চলতি সপ্তাহেই সিনেটের এক শুনানিতে ভ্যাকসিন সংকটের জন্য ওবামা দায়ী এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফওসি।
হোয়াইট হাউসের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কারণেই বহু মানুষের প্রাণরক্ষা হয়েছে। যদিও পরিসংখ্যান তা বলে না। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ, আক্রান্ত ১৪ লাখেরও বেশি, যা বিশ্বের অন্যান্য যে কোনও দেশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
শনিবারের ভাষণে মহামারির কারণে প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা ও আইনের শাসন দুর্বল হয়ে যাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন বারাক ওবামা। এদিন জর্জিয়ায় জগিংয়ের সময় আহমদ আর্বারি নামে এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যার কথা উল্লেখ করেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। আর্বারিকে গত ফেব্রুয়ারিতে হত্যা করা হলেও এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দুই শ্বেতাঙ্গ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয় মে মাসে।
ওবামা বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের ওপর কোভিড-১৯ এর অপ্রতিরোধ্য প্রভাব দেখা যাচ্ছে। যেমনটা দেখি কোনও কৃষ্ণাঙ্গ দৌড়াতে যায় আর কিছু লোক মনে করে তারা তাকে আটকে প্রশ্ন করতে পারে এবং যদি সে তার জবাব না দেয় তবে তাকে গুলি করতে পারে। এ ধরনের অন্যায় নতুন কিছু নয়। নতুন বিষয় হচ্ছে আপনাদের প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষ সচেতন হয়েছে যে, এই অবস্থা ঠিক করা দরকার।’