সূত্র মতে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ (এমএফএসপি) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০১৩ সালে। খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের নানা স্থানে সাতটি সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। নানা আনুষ্ঠানিকতার পর বিগত ২০১৪ সালের মার্চে প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পটি দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ে। এতে করে প্রকল্প ব্যয়ও অনেক বেড়ে গেছে।
এই প্রকল্পের নগরীর পতেঙ্গা সাইলোর পাশে ছয় একর জায়গার উন্নয়নসহ প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির আওতায় চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বরিশাল, আশুগঞ্জ, মহেশ্বরপাশা ও মধুপুরে সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে চট্টগ্রামে।
এছাড়া চট্টগ্রামের নির্মাণাধীন সাইলোতে মোট নয়টি বিন (সংরক্ষণাগার) থাকবে। প্রতিটি বিনের ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ টন। এসব বিনে টানা তিন বছর খাদ্যশস্য সংরক্ষণকালে কোনো খাদ্যে পোকা আক্রমণ করবে না, পচবে না এবং কোনো দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। এ ছাড়া এসব সাইলোতে খাদ্য সংরক্ষণ, বিলি-বণ্টনের হিসাব আর ভিটামিন মেশানো থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হবে অটোমেটিক ডিজিটাল মেশিনে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় স্টিল সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামীকাল। বিকেল ৩টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাইলো নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।