রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে। এ বিষয়ে আইএমএফের এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত তারা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এই পরিস্থিতিতে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে জ্বালানি তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। খরচ কমাতে বিদেশি ফল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারের খরচ কমাতেও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এই পরিস্থিতিতে ঋণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে গত রোববার আইএমএফকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, সময় একটু খারাপ (ক্রিটিক্যাল টাইম) বলে জরুরি ভিত্তিতে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখা ও বাজেটসহায়তা বাবদ বাংলাদেশের অর্থের দরকার।
আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের নতুন চালু করা রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিতে আগ্রহী ছিল। তা ছাড়া আইএমএফের আরেকটি কর্মসূচির আওতায় ঋণের বিষয়ে আলোচনার জন্যও অনুরোধ করেছে।
আইএমএফের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, আইএমএফ বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তহবিলের বিদ্যমান নীতি ও প্রক্রিয়ার আলোকে কর্মসূচি প্রণয়নে কর্মকর্তারা (আইএমএফের) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় যে কর্মসূচি ঠিক হবে, সে অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হবে।