সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামালকে এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক সাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে মার্জিণ ঋণের সুদ মওকুফের পাশাপাশি আরও ৪টি দাবি করা হয়েছে। এরমধ্যে- ব্যবসা পরিচালনার জন্য ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদেরকে ঋণ দেওয়ার আহবান করা হয়েছে। ৪ শতাংশ সুদের হারে ট্রেকহোল্ডারদের শেষ ৬ মাসের পরিচালন ব্যয়ের সমতুল্য ঋণ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। যা ২৪টি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু হবে।
এদিকে ১ বছর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষণাবেক্ষন ফি মওকুফ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছে ডিএসই। এ বিষয়ে ডিএসই বলেছে, বিনিয়োগকারীরা এই মুহুর্তে শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় লোকসান গুণছে। এই পরিস্থিতিতে সিডিবিএলকে আগামি ১ বছর বিও ফি মওকুফ করার জন্য নির্দেশনা দিতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহবান করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিনিয়িাগকারীরা অনেক লোকসানের মধ্যে পড়ে গেছে। তাই এই মুহুর্তে লেনদেনের উপর আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় ৫৩বিবিবি অধীনে যে ০.০৫% হারে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) নেওয়া হয়, তা ১ অর্থবছরের জন্য পূর্ণ মওকুফের দাবি করেছে ডিএসই।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫% সুদের হারে বিশেষ ফান্ডের ব্যবস্থা করে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক যা শেয়ারবাজারের জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে সেই ফান্ডের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
তাই চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ ফান্ডের সুদের হার ৫% থেকে কমিয়ে ২% শতাংশ করার ব্যবস্থা গ্রহনে অর্থমন্ত্রীকে আহবান করেছে ডিএসই।