গতকাল বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সরকারের ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা পেতে সহযোগিতা করছি। আগামী বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স ও ভ্যাট কমানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। এছাড়া আগামী তিন বছরের মধ্যে করপোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ কমানোর জন্য বলেছি। আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমানোর বিষয়েও আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
তারা এ বিষয়ে কাজ করবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে বিগত বছরগুলোয় বাজেট নিয়ে যেসব ঝামেলা হয়েছে এবার সেটা হবে না। এজন্য সব সেক্টরের সঙ্গে আমরা আলাদা আলাদা করে আলোচনা করেছি এবং সবার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা সেই বিষয়গুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা ব্যাংকগুলো থেকে যথাযথ সহযোগিতা আশা করি। তারা বলছে, তাদের অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায় এবং ঋণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনো পলিসি না থাকায় ঋণ প্রক্রিয়া কাজ শুরু করতে পারছে না। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রতিটি ব্যাংকে এই প্যাকেজের সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। যেহেতু সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য এগিয়ে এসেছে, আমার মনে হয় ব্যাংকগুলো এ বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসবে এবং খুব তাড়তাড়ি এর সমাধান হবে।
শেখ ফজলে ফাহিম এক্সপোর্ট অ্যান্ড ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ কাউন্সিল, টেকনোলজি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশন ও কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এর আগে তিনি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন, ওইমেন চেম্বারসহ বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
মতবিনিময়ে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির কাজ ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছি আমরা। সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যে প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে, সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা না পেলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা তাদের নানামুখী সমস্যা ও ব্যাংক থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা না পাওয়ার কথাও তুলে ধরেন।