আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত সেখানে শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ৩৩৯ জন মারা গেছেন। ছয় সপ্তাহ লকডাউনে কমলেও সম্প্রতি তা কিছুটা শিথিল সংক্রমণের গতি ফের বেড়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনার বিস্তার রোধে একটি মডেল তৈরির জন্য একদল বিজ্ঞানী ও পরিসংখ্যানবিদ নিয়োগ দিয়েছিল। তারা বলছেন, নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তাদের মধ্যে হ্যারি মোলট্রি নামের এক বিজ্ঞানীর টেলিভিশনে উপস্থাপিত একটি প্রেজেন্টেশনে বলেন, ‘আমরা এখনো ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে পারিনি। এছাড়া কোভিড-১৯ এর দিকে মনযোগ দেওয়ার কারণে এইডস ও টিবির মতো মহামারি থেকেও আমাদের নজর সরে গেছে।’
বিজ্ঞানীদের তৈরি ওই মডেলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, নভেম্বরের মধ্যে দেশটিতে ৩০ লাখ পর্যন্ত মানুষের শরীরে
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। ফলে সেখানে হাসপাতালে বেডের চাহিদা তৈরি হবে ৪৫ হাজার; যা দেশটির বর্তমান সক্ষমতার দশগুণ।
তাদের দেওয়া মডেলে অবশ্য এও বলা হচ্ছে, লকডাউনের কারণে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ৬০ শতাংশ কমেছে। চলতি মে মাসের শুরু পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কড়াকড়ি থাকায় তা হলেও লকডাউন কিছুটা শিথিল করার পর এই হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে।