ডলারের ক্রয়-বিক্রয় মূল্যে সর্বোচ্চ ব্যবধান ১ টাকা নির্ধারণ হতে পারবে। ডলারের চলমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ডলার কেনা-বেচায় দামের ব্যবধান (স্প্রেড) সর্বোচ্চ কত হতে পারবে তা বেঁধে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে দরে ডলার কেনা হবে, বিক্রির দাম তার চেয়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি হতে পারবে।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন।"
তবে ডলারের চরম সংকটের সময় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। তৎপরতা বাড়ায় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। ফলে খোলা বাজারে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম।
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের বাজার চরম অস্থিতিশীল দেখা যায়। এতে সংকট কাটিয়ে উঠতে রিজার্ভ থেকে ডলারের যোগান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সপ্তাহের শুরু থেকে খোলাবাজারে ডলারের দাম ছিল ১১৮ টাকা পর্যন্ত। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিযানে দুদিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১২ টাকায় নেমেছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিল এলাকায় খোলাবাজারে ১১২-১১৪ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। তবে পাসপোর্ট ও ভিসার কাগজপত্র দেখিয়ে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে ১১০-১১২ টাকায় কেনা যাচ্ছে ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন এবং বাফেদা চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মো. আতাউর রহমানসহ অন্যারা উপস্থিত ছিলেন।