তিনি আরো বলেন, আমরা আশা রাখি যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে এবং বাংলাদেশ ব্রিটেন থেকে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা কিনতে পারবে।
যুক্তরাজ্য ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামে নতুন বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করেছে। যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশকে শুল্ক হ্রাস এবং সহজতর রপ্তানি সুবিধা দেবে।
ডিসিটিএস বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা দেবে। যা বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করবে। এই নতুন স্কিম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সর্ম্পককে আরও শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাজ্যের যে অঙ্গীকার তারই প্রতিফলন।
ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে। এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়েই বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এই স্কিমের আওতায় অস্ত্র ছাড়া অন্য সব পণ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত থাকবে ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরো বলেন, ডিসিটিএস বিশ্ব অর্থনীতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শক্তিশালী বিনিয়োগ অংশীদার তৈরি করতে অবদান রাখবে। এই স্কিমে মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার রক্ষায় ব্রিটেনের যে অঙ্গীকার তা প্রতিফলিত হয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হলে বাণিজ্য সুবিধা তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্নীতিবিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন কনভেনশনে ব্রিটেনের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা ডিসিটিএস সমর্থন করবে।
নতুন স্কিমটি ইউকে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সেকে (জিএসপি) প্রতিস্থাপন করবে এবং ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কার্যকর হবে। এছাড়া, স্কিম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে: Developing Countries Trading Scheme (DCTS): new policy report - GOV.UK (www.gov.uk)