ফলে অনাহারে দিন কাটাতে হবে প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ (৫৪ মিলিয়ন) মানুষকে। ফুড ব্যাংক, ফুড স্ট্যাম্পস ও অন্যান্য সহযোগিতা না পেলে ক্ষুধার্ত অবস্থায় পড়বেন এসব মানুষ।
দেশটির জাতীয় ফুড ব্যাংক নেটওয়ার্ক ফিডিং আমেরিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনা সংশ্লিষ্ট লকডাউনের ফলে অর্থনীতির অচলাবস্থায় ৪ কোটির বেশি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটির প্রতি চারটি শিশুর একজনের (১৮ মিলিয়ন) এই বছর খাদ্য সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ২০১৮ সালের তুলনায় এ হার ৬৩ শতাংশ বেশি।
করোনা মহামারির আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। অন্তত ৩৭ মিলিয়ন মানুষ একটি সক্রিয় ও সুস্থ জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতিতে ছিলেন।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় অঙ্গরাজ্য ও কাউন্টি ভেদে পার্থক্য রয়েছে। লুইজিয়ানা, আরকানসাস, অ্যালাবামা, মিসিসিপি, নিউ মেক্সিকো, টেক্সাস ও টেনেসিতে ১১ মিলিয়নের বেশি মানুষ ২০২০ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, জাতীয় বেকারত্বের হার সাড়ে ১১ শতাংশ হতে পারে। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৭.৬ পয়েন্ট বেশি। জাতীয় দারিদ্র্যের হার হতে পারে ১৬.৬ শতাংশ, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৪.৮ পয়েন্ট বেশি।
ফিডিং আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লেয়ার বাবিনিউক্স-ফন্টেনট বলেন, করোনা মহামারি আমাদের দেশজুড়ে জীবন ও জীবিকায় প্রভাব ফেলে যাচ্ছে। সংকটে থাকা কোটি মানুষ খাদ্যহীনতায় পড়তে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। রোববার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৩৪ জনের।