এতে করে আবারো চাঙ্গা ভাবে ফিরতে শুরু করেছে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার। এরই মধ্যে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার তিন মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছার পথে রয়েছে। গত মার্চের তুলনায় এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ বাজার চাঙ্গা হয়েছে। এছাড়া বেশির ভাগ দেশ অর্থনীতি খুলে দেয়ার পথে হাঁটায় চলতি মাসে বাজার আরো বেশি চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মার্কিন-চীন সম্পর্কে অচলাবস্থার মধ্যেও পুঁজিবাজারের ঘুরে দাঁড়ানো বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কভিড-১৯-এর ধাক্কায় টালামাটাল পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনীতি আবার চাঙ্গা করতে জোরেশোরে কাজ করছে বিশ্ব। এরই অংশ হিসেবে এখন বিধিনিষেধে শিথিল করা হচ্ছে। আর এর প্রভাবে বৈশ্বিক সূচক এমএসসিআই করোনাভাইরাস-পরবর্তী মন্দা ভাব থেকে দুই-তৃতীয়াংশ বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে হংকং সংকটকে কেন্দ্র করে মার্কিন-চীন প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়টিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্থির অবস্থান থাকাও বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। হংকংয়ের জন্য বিশেষভাবে তৈরি জাতীয় নিরাপত্তা বিল পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ায় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপকে মোটেই ভালোভাবে নেয়টি বেইজিং। হংকং ইস্যুতে ওয়াশিংটনের এমন প্রতিক্রিয়ার জবাব হিসেবে এরই মধ্যে চীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন ও পশুখাদ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
তবে মার্কিন-চীন দ্বৈরথ এখন বৈশ্বিক পুঁজিবাজারের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না বলে মনে হচ্ছে। এরই মধ্যে ইউরোপের পুঁজিবাজার দশমিক ৮ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় ছুটি না চললে এটি আরো বেশি চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এদিকে চীনসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করায় পূঁজিবাজারের সূচক বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে চীনের ব্লুচিপ সিএসআই ৩০০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।
চীনে সরকারিভাবে করা এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে দেশটির কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রমে শ্লথগতি ছিল। যদিও এ সময়ে নির্মাণ ও সেবা খাত খুব দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরতে শুরু করছে। ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটির ঘুরে দাঁড়ানো পুঁজিবাজারের জন্যও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।