এসব পরীক্ষার আয়োজন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় না পিএসসি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ মার্চ এক ঘোষণায় চলমান সব পরীক্ষা ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে পিএসসি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় স্থগিতাদেশ আর প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে বৃহত্তর স্বার্থে সংস্থাটি ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসক ও সিনিয়র নার্স নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে তিনটি বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি। এগুলো হচ্ছে-৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস। ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের কথা মার্চের শেষের দিকে।
পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ‘৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশের জন্য সবকিছুই প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু করোনায় আটকে গেছে ফলাফল ঘোষণা। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।’
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের সব পরীক্ষার শিডিউল ভেস্তে গেছে। মার্চ মাসে ৮ থেকে ১০টি নন-ক্যাডার পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন আছে। করোনায় আমাদের কাজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সব কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার ফলাফল তৈরির সঙ্গে খাতা দেখাসহ আরও কিছু কাজ আছে। এতে বাইরের বিশেষজ্ঞরা সম্পৃক্ত। অনেককেই পিএসসিতে আসা-যাওয়া করতে হয়। আমরা তাদের কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাই একটু সময় নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাস্তবতা সবাইকে মানতে হবে।