সম্প্রতি বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যাংকটিকে চিঠির মাধ্যমে রাইট ইস্যু বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। গতকাল এবি ব্যাংকের রাইট শেয়ার ইস্যু বাতিল-সংক্রান্ত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংকটির পক্ষ থেকেও এ-সংক্রান্ত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এবি ব্যাংকের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিলের বিষয়ে বিএসইসি বলছে, ২০১৮ সালের পর রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ নথিপত্রও জমা দেয়া হয়নি। এ কারণে বিএসইসির পক্ষে ব্যাংকটির রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বিবেচনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা বলছেন, রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি অনেক দিন থেকেই ঝুলে ছিল। কমিশনের পক্ষ থেকে যখন যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তারা সেটি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তারা কমিশনের কাছ থেকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন। এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে গতকাল বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তারা।
প্রসঙ্গত, এবি ব্যাংক প্রথমে প্রতি পাঁচটি শেয়ারের বিপরীতে চারটি রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এক্ষেত্রে ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ২ টাকা ৫০ পয়সা প্রিমিয়াম ছিল। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) প্রিমিয়ার নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। সর্বশেষ ব্যাংকটি রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবে আংশিক পরিবর্তন করে বিদ্যমান তিনটি শেয়ারের বিপরীতে ফেসভ্যালুতে দুটি করে রাইট শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয়ার কারণে রাইট শেয়ার ইস্যু প্রস্তাবে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।