সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সভাপতি এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, `আমি দাবি করবো অবিলম্বে সব আদালত খুলে দেয়া হোক এবং নির্দিষ্ট নীতিমালা দেয়া হোক। কয়টি মামলা, কোন কোর্ট শুনবে, কী ধরনের শোনা হবে ইত্যাদি। আপনারা দেখেছেন হাইকোর্টের কোর্ট রুম অনেক বড়, বিরাট কোর্ট। সেখানে আমরা দুই তিনজন, চারজন করে আইনজীবী থাকলে, আমরা যদি মেইন্টেন করি, আমি মনে করি সরকার যে উদ্দেশ্যে কোর্ট বন্ধ রেখেছে সে উদ্দেশ্য ব্হোত হবে না। তবে একটা জিনিস করতে হবে হাইকোর্টে অনেকসংখ্যক বিচারপ্রার্থী আসে, তাদের সঙ্গে অনেক লোক যাতে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা সীমিত করতে হবে।
‘করোনা কবে শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ থাকতে পারে না। এতে বিচারপ্রার্থী এবং আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি অবিলম্বে কোর্ট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থার গ্রহণ করবেন’ বলে আশা প্রকাশ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয় গত ২৬ এপ্রিল।
এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওই দিন প্রথমবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ বিচারপতি।
এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুদিন পর ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।