বাণিজ্যিক সম্পর্কের রোডম্যাপ প্রণয়নে ‘জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি: আগামী এক দশকের পরিকল্পনা’ শীর্ষক যৌথ প্রকল্প চালুর সম্ভাব্যতা আলোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ সভায় চিটাগং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে পরিচালক শাহরিয়ার জাহান ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, জেটরোর ঢাকাস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জেবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ইউজি অ্যান্ডো, জেবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট শরিফুল আলম ও সেক্রেটারি তারেক ভূইয়া (জুন), চিটাগং চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম এতে অংশগ্রহণ করেন।
চিটাগং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘকাল ধরে অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অবদান রেখে আসায় জাপান সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং জেটরো ও জেবিসিসিআই প্রতিনিধিদের মতবিনিময়ে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। চেম্বার প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেটরো ও জেবিসিসিআইয়ের সঙ্গেও একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের পাশাপাশি এর সার্বিক নির্দেশনা প্রদানে উভয় দেশের বেসরকারি খাত, দূতাবাস ও ইকোনমিক উইংসের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখেন।
বাংলাদেশের জেটরো কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও জেবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ইউজি অ্যান্ডো জানান, জাপানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বাজারকে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বিবেচনা করেন এবং এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান। তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগের পথে বাধাগুলো দূরীকরণ ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যবসার পরিবেশ উন্নতকরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় চিটাগং চেম্বার সভাপতির সহায়তা কামনা করেন।
জেবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট শরিফুল আলম বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও এফডিআই আকর্ষণের জন্য সরাসরি কানেক্টিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ঢাকা-টোকিও বাংলাদেশ বিমানের একটি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, কিন্তু সে দেশের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করতে এ সেবার মান বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। এছাড়া পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে এ দেশে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ জাপানি বিনিয়োগ আসছে না বলে ব্যবসা সহজীকরণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।