এ নিয়ে বুধবার তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে অভিভাবক ফোরামের নেতারা বলেন, করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য বারে বারে এই ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় জনজীবন বিপর্যস্ত ও স্থবির হয়ে পড়েছে। জীবন রক্ষার্থে মানুষ ঘরের ভিতর আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ফোরামের নেতারা বলেন, শিক্ষক সমাজের পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে মহাদুর্যোগের কারণে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৭ মার্চ থেকে শ্রেণির কার্যক্রম হয়নি, শিক্ষক-কর্মচারিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়নি। সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ায় শতকরা ৮০ ভাগ অভিভাবকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। শহর এলাকায় বসবাসরত অভিভাবকগণ বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ করতে পারছেন না। তাদের সন্তানদের ভরন পোষণে হিমসিম খাচ্ছেন।
তারা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক পেশাজীবি ও চাকরিজীবি অভিভাবক। সমাজের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত কষ্টকর। সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করতে অভিভাবকগণের অধিকতর কষ্ট হওয়ায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর লেখা-পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। করোনা মহামারির দুর্যোগ মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি (ছাত্র বেতন) পরিশোধ করা অভিভাবকগণের পক্ষে সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব।
এমতাবস্থায় বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন দুর্যোগে বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মার্চ থেকে আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত ৬ মাসের টিউশন ফি (ছাত্র বেতন) মওকুফের নির্দেশ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।