করোনা ধরা পড়েছে রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও মোহনা টেলিভিশনের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান শ্যামলের (৪৫)। রামেক ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে রাজশাহী নগরীর কেশবপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মনিরুজ্জামানের (৩৭)। এখন বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
ওই ল্যাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে জেলার মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. নাফিস ইমতিয়াজ (২৬), ডা. নিজিয়া (২৮), ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং অফিসার মার্সাল হোসেনের স্ত্রী (২৫), রুমিয়া (২৫), মেয়ে হিবা (১১) এবং স্ত্রীর বড়বোন সুমাইয়ার (২৯)। তবে করোনা শনাক্ত হয়নি মার্সাল হোসেনের। মার্সাল হোসেন পরিবার নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়ার্টারে থাকেন। আর সেখানকার দুই চিকিৎসক থাকেন রাজশাহী নগরীতে।
রামেক হাসপাতালে ল্যাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে রেলওয়ের বুকিং সহকারী ফয়সাল কবীরের। তিনি নগরীর ভদ্রায় রেলওয়ে ব্যারাকে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা, পোস্টিং নাটোরে।
এ বিষয়ে রামেক ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার জানান, তাদের ল্যাবে মোট ১৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। এদের মধ্যে পাবনার ৮ জন, নাটোরের ৫ জন এবং রাজশাহী নগরীর দুইজন। এ দিন রামেকের ল্যাবে দুই শিফটে ১৮৩টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালের মালিকুলার বায়োলজি ল্যাবে এক শিফটে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। তারা সবাই রাজশাহীতে আছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ এবং চিকিৎসক।