বিভিন্ন গবেষণা পর্যালোচনার পর এফডিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওষুধগুলো জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের ‘সংবিধিবদ্ধ মানদণ্ড’ পূরণ করে না, কারণ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এর কার্যকারিতা নেই। সোমবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি।
এফডিএর প্রধান বিজ্ঞানী ডেনিস হিন্টন এ নিয়ে বলেছেন, ‘বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে এফডিএ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে, এটা বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই।’
সোমবার বায়োমেডিকেল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিএরআরডিএ) গ্যারি ডিসব্রোকে একটি চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ‘এছাড়া কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধগুলোর জ্ঞাত এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে এর জ্ঞাত ও সম্ভাব্য সুবিধাগুলো অনেক বেশি বলে বিশ্বাস করাও অযৌক্তিক।’
হিন্টন চিঠিতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইনের সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এইচসিকিউ এবং সিকিউ-র জরুরি ব্যবহার বাতিল করেছে এফডিএ। এই চিঠির তারিখ থেকে ওষুধ দুটি এফডিএ দ্বারা কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য আর অনুমোদিত নয়।’
ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবনে করোনা রোগীদের সুফল হয় কিনা তা জানতে এর আগে ট্রায়াল চালায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও। তবে অ্যান্টিভাইরাল এই ওষুধটি কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় সেই ট্রায়াল থেকে তা বাতিল করে দিয়েছিলেন গবেষকরা।
শুধু অক্সফোর্ড নয় প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানচেটে ওষুধটি নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে জানা হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনে করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়ার প্রমাণ তো নেই উল্টো এতে মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়ে। বিশ্বের শীর্ষ আরও অনেক বিজ্ঞানী ওষুধটি নিয়ে ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন।
ওষুধটি নিয়ে আলোচনা শুরু ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করার পর। ট্রাম্প নিজেও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করেছেন বলে প্রকাশ্যে জানান। এরপর অনেকেই চমকে যান, কারণ এর কার্যকারিতার কোনো প্রমাণ এখনো নেই। ট্রাম্প সবাইকে এই ওষুধ সেবনেরও পরামর্শ দেন।