সোমবারই বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮০ লাখের কোঠা পার হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে বিশ্বের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ ১৫ হাজার ৫০২ জন ছিল।
অনেক দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ঘাটতি থাকায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় আগের মতই বিশ্বে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২১ লাখ ১৩ হাজার ৯০১ জন শনাক্ত হয়েছেন, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের ২৫ শতাংশ।
লাতিন আমেরিকায় করোনাভাইরাসের বিস্তার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। রয়টার্সের হিসাবে সেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিশ্বের মোট সংখ্যার ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
কোভিড-১৯ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মের প্রথমদিকে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছিল। এরপর মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যাটি দ্বিগুণ হয়ে ৮০ লাখ ছাড়াল।
বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা চার লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
রয়টার্স বলছে, ব্রাজিলের সরকারি হিসাবে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম এই দেশে পরীক্ষার ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় অনেক আক্রান্তকেই শানক্ত করা যায়নি, আর শনাক্ত না হওয়া অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
কোভিড-১৯ এ যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রাদুর্ভাব শুরুর তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশটি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়েই চলছে।
গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ এলাকায় নতুন রোগীর সংখ্যা কমতে দেখা গেলেও এখন অনেক এলাকা থেকে রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর আসছে।
সেসব এলাকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ শুরুর শঙ্কা দেখছেন অনেকে।
এ ক্ষেত্রে সংক্রমণের প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাকে কারণ হিসেবে দেখছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই সবাইকে মাস্ক পরতে, ভিড় এড়িয়ে চলতে এবং দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চীনেও করোনাভাইরাসের নতুন ক্লাস্টার পাওয়ার খবর এসেছে। তিন মাসের বেশি সময় লকডাউনে থাকার পর দেশটি যখন অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা শুরু করেছে, তখনই রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন জায়গায় নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে প্রায় দুই মাস বেইজিংয়ের ভেতরে নতুন সংক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।