সে অনুযায়ী, এখন থেকে গ্রাহকরা তাদের ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যান্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে, বিইএফটিএন চ্যানেলে এবং অন্যান্য ব্যাংকের কার্ড পেমেন্টের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে দিনে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ব্যাংকটি। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে এটিএম থেকে গ্রাহকরা দিনে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন, যা আগে দিনে ২ লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। আর প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা এটিএম থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। তবে প্রতি লেনদেনের ক্ষেত্রে সীমা অপরিবর্তিত থাকছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের শাখাগুলোয় সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পরও লেনদেনের সীমিত সময়ের কারণে গ্রাহকদের ভিড় কমছে না, যা ব্রাঞ্চগুলোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা। ব্রাঞ্চে আসা গ্রাহকদের একটা বড় অংশ এমন পরিমাণ অর্থ এনক্যাশমেন্ট ও ট্রান্সফার করতে আসেন, যা পূর্বে অনলাইন এবং এটিএমের মাধ্যমে সম্ভব হতো না। এ কারণেই আমরা বিকল্প চ্যানেলে লেনদেনের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছি। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখোমুখি না হয়ে গ্রাহকরা আমাদের সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা এবং এটিএমের মাধ্যমে লেনদেনে উৎসাহিত বোধ করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি আরো বলেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকিং সুবিধা পান। আর এটিএমগুলোয় ব্রাঞ্চের তুলনায় ভিড় তুলনামূলকভাবে কম হয়। এ দুই বিকল্প ব্যবস্থাই আমাদের গ্রাহক ও ব্রাঞ্চ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সহায়তা করবে। এছাড়া এর ফলে ব্রাঞ্চে আসা গ্রাহকদের ভিড় কমে যাবে বলে আমরা আশা করছি। যাতে আমাদের সহকর্মীরা ব্রাঞ্চে আসা অন্যান্য গ্রাহকের জন্য আরো উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় গ্রাহক ও কর্মচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ব্র্যাক ব্যাংক শুরু থেকেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি তাদের এ পদক্ষেপের আরো একটি সংযোজন।