ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ও পরিচালক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মুর্তাজা মামুনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ফলস্বরূপ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তের অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার সার্বিক পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এক্ষেত্রে যে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে সেজন্য দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
শিক্ষার্থী নির্বাচন করার পরে শিক্ষার্থীর আবেদন দাখিল, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অনুমোদন, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ইএনও এর নিকট তালিকা দাখিল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক অনুমোদন অতঃপর তা স্কিম পরিচালকের নিকট দাখিল ও অনুমোদন, স্কিম পরিচালক কর্তৃক বিল দাখিল, মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ অফিস কর্তৃক বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সংশ্লিষ্ঠ মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মোবাইলে পৌঁছে দেয়া এই পুরো কাজটি অনলাইনে করা হবে।
উল্লেখ্য, আজ ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জিটুপি (G2P) পদ্ধতিতে (অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি অর্থ সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে) প্রেরণ করা হয়েছে । আগামী ২৪ জুন ২০২০ তারিখে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে।
একই সময়ে মন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে প্রেরণ করা হবে।
অনলাইনে বৃত্তি প্রদানের এ সেবাটি মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।