তিনি বলেছেন, ‘কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেশি বিল করে ফেলা হয়েছে। এটা ভুল হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিস গেলেই বিল ঠিক করে দেবে। গ্রাহকের কোনো ভয় নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না।’
বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিদ্যুৎ খাতের বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান এই সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এতে সাবেক ও বর্তমান আমলা, অর্থনীতিবিদসহ বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আর রাখতে চাই না। গত বছর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অবসরে পাঠানো হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি অর্থায়ন আনতে ‘বিদ্যুৎ বন্ড’ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতিরিক্ত সমক্ষমতা অনেক পরিকল্পনা করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সক্ষমতা খরচও বাড়ায়। তাই এর ব্যবস্থাপনা ঠিক করা দরকার। তা না হলে বাড়তি খরচ শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর চাপে।
তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর বাইরে নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম।
সাবেক বিদ্যুৎ সচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, সারা দুনিয়া ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে আসছে।