আরিজোনার প্রশাসন এর আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়ার কথা জানালেও, সেখানে মাত্র এক দিনে তিন হাজার ৮৫৮ জনের করোনা শনাক্তের পর ‘ইউ-টার্ন’ নেয় কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের গভর্নর নতুন আদেশ দিয়েছেন যে, জুলাইয়ের ২৭ তারিখ পর্যন্ত সব বার, নাইটক্লাব, জিম, সিনেমা ও ওয়াটার পার্ক বন্ধ রাখা হবে।
জুন মাসের শুরুতে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধ শিথিল করে অর্থনীতি পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মহামারি মোকাবিলায় দেশটির বিভিন্ন পদক্ষেপ পর্যালোচনায় বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। টেক্সাস, ফ্লোরিডা, কানসাস, ওরেগন ও নিউ জার্সিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবার পর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
এদিকে মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়ার উপর নির্ভর করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এই বিশেষজ্ঞ এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে আরও বলেছেন, আমেরিকানরা যদি ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তাহলে দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ পর্যন্ত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজ-এ প্রধান ড. অ্যান্থনি দেশটির একটি সিনেট কমিটিকে বলেছেন, এই দেশে সবার জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে দ্রুত গতিতে গবেষণা ও পরীক্ষা চলছে। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর ধাপে পৌঁছেছে। তবে ড. ফাউচি সতর্কতা জানিয়ে বলছেন, আমরা নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পেয়ে যাব তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি মার্কিন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, যদি জনগণ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার নির্দেশনা মেনে না চলেন তাহলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে ১ লাখে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, আমি খুব উদ্বিগ্ন কারণ পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে পারে।