শনিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের রাউজান ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে চাইথোয়াইঅং-এর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভা প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার আরিফ মঈনুদ্দীন, রাউজান প্লাজা ম্যানেজার খলিলুর রহমান এবং রাঙামাটি প্লাজা ম্যানেজার তায়্যেবুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
এর আগে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী এবং নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলাইমান হক।
চাইথোয়াইঅং মারমা জানান, তার বাড়ি রাঙামাটির কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়া সুগার মিল আদর্শ গ্রামে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের পরিবার তার। নিজেদের ব্যবহারের জন্য ৩০ জুন রাউজান ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। মাত্র ৩২,৫০০ হাজার টাকায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার ঘোর কাটছে না তার।
চাইথোয়াইঅং বলেন, ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সম্পর্কে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারি। আমার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রায় সবাই ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছে। তাদের কাছে শুনেছি ওয়ালটন ফ্রিজ দামে সাশ্রয়ী এবং মানেও খুব ভালো। বাসায় আগে থেকেই ওয়ালটনের রাইস কুকার ব্যবহার করছি। ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এসব কারণে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু পছন্দের সেই ফ্রিজ কিনেই যে ভাগ্য বদলে যাবে, তা মোটেও ভাবি নাই। ক্রেতাদের জন্য এমন সুবিধা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম ওয়ালটন কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারজাত শুরু করেছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করলো ওয়ালটন।
আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।