ওই জাহাজে রবিউল নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। জাহাজ থেকে নেমে ২৭ বছর বয়সী রবিউল লিবিয়াকে ‘নরক’ আখ্যা দিয়ে জানান, বেশ কয়েক দিন আগে তারা দেশটি থেকে পালিয়ে আসেন। আরও কোনো বাংলাদেশি তার সঙ্গে আছেন কি না, সেটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
এই অভিবাসীদের সোমবার সরকারি আরেকটি জাহাজে নেয়া হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
ওশান ভাইকিং জাহাজটিতে থাকা অভিবাসীদের ইতিমধ্যে কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে রেজাল্ট আসার কথা।
অভিবাসীদের মধ্যে ঠিক কতজন বাংলাদেশি আছেন, সেটি জানা যায়নি। অন্যদের মধ্যে পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া এবং নাইজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। লিবিয়া উপকূল থেকে পালিয়ে আসার পর তারা জুনের শেষ দিকে সাগরের উদ্ধারকারীগ্রুপ ‘SOS MEDITERRANEE’-এর হাতে পড়েন।
১৮০ জনের মধ্যে ২৫ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের সঙ্গে কোনো অভিভাবক নেই। দুইজন আবার গর্ভবতী নারীও আছেন।
জাহাজটি ইতালি অথবা মাল্টা প্রবেশের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছিল। হতাশ হয়ে অনেকে আত্মহত্যার মতো ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন।
‘এখন আমরা খুশি। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। লিবিয়া নরকের মতো ছিল,’ বাংলাদেশের রবিউল এভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, ‘এখন অন্তত শেষ দেখতে পাবো। আমি বেঁচে আছি, এটা বাড়ি জানানো দরকার।’