বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলার। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অবদান খুবই প্রশংসনীয়।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং আজ তোমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হলে, আমার সামনে এই যে তরুণ প্রজন্ম, তোমরা এক একটি আলোর প্রদীপ। তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। কাঁধে নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার। তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছ। তোমরা ভালো করেই জানো তোমাদের বিদ্যা লাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি সাহস ও অর্থ জুগিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই দেশের জনগণের প্রতি জীবনব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা জাতি প্রত্যাশা করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর সব রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নতুন এ বিশ্বব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোনো অসামর্থ্যই দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন নিরন্তর গবেষণা। নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি। জ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। নতুন জ্ঞান তৈরি করতে হবে।
সমাবর্তনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ২০ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।