পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের প্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর সামনে কালো মুখোশ করে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারসাজি করে যারা কোটি কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।আজ বুধবার মতিঝিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, যেখানে বাজার মূলধন ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা, সেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার ট্রেড হয়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। এই মুহূর্তে সূচক নেমে এসেছে ৫ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ তে নেমে এসেছে। এগুলো সব বাজার কারসাজির কুফল। দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনারদের অব্যাহতির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
সাধারণ বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে নিয়ে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ, ২০১০ সালের ধসের পর থেকেই থেমে থেমে পতন চলছে পুঁজিবাজারে। সাম্প্রতিক সময়ে এই পতন তীব্রতম হয় উঠেছে। আজ ৮ জানুয়ারি, বুধবার এই রিপোর্ট লেখার সময় থেকে গত চারদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩২ পয়েন্ট বা ৫ শতাংশ। আর গত এক বছরে এই সূচক কমছে ১ হাজার ১৫৭ পয়েন্ট বা প্রায় ২১ শতাংশ। টানা দর পতনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন অসংখ্য বিনিয়োগকারী। ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অনেক মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। টিকে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করে ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে।