বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে। তবে সব সরকারি ডাক্তার-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা যেমন এ প্রণোদনা পাবেন না তেমনি বঞ্চিত থাকবেন একই কাজে নিয়োজিত থাকা বেসরকারি খাতে সেবাদানকারীরাও।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্মানী বাবদ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুকূলে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ প্রণোদনার জন্য সরকার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এ সম্মানী বর্তমান প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশে বর্ণিত সম্মানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে বলে এতে উল্লেখ আছে।
কারা সম্মানীর যোগ্য
যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ সাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বিশেষ সম্মানীর আওতায় শুধুমাত্র করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবাকর্মীরা এককালীন দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
প্রণোদনা পেতে যা লাগবে
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, এককালীন বিশেষ এ প্রণোদনা পেতে আবেদনে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম এবং আইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া পদবি, অফিস ও বেতন গ্রেড, মূল বেতন এবং এককালীন বিশেষ সম্মানীর পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় কোন হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তার নাম ও ঠিকানাও লিখতে হবে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় সরাসরি নিয়োজিত ছিলেন মর্মে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রত্যয়ন আবেদেনর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি মূল বেতনের সঙ্গে চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার বা ডিএও বা ইউএও বা ডিসিএও এর প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে।
দুই দফায় হবে যাচাই-বাছাই
বিশেষ প্রণোদনা পেতে আগ্রহীদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে সম্মানীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর নামের তালিকা তৈরি করবে।
এ নামের তালিকা পাঠানো হবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কাছে। সেখানে হবে আরেক দফা যাচাই-বাছাই। চূড়ান্ত ধাপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ নামের তালিকা পাঠাবে অর্থ বিভাগের কাছে। অর্থ বিভাগ সে তালিকায় সম্মতি দিলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সরকারি আদেশ জারি করবে।