প্রবীণ এই শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন। স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রকামী মানুষের অভিভাবক ছিলেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন নির্লোভ, নিবেদিতপ্রাণ, দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ছিলেন।
শুক্রবার রাজধানীর কাঁটাবনে এমাজউদ্দীন আহমদের বাসায় তার প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফখরুল এসব কথা বলেন।
সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৮৭ বছর বয়সী বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, আমরা এই রকম একজন অভিভাবককে শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতি হারাল। তিনি সব সময় চেয়েছেন, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটা উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মিত হোক। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হোক। জনগণের মুক্তি হোক, এটাই উনি চেয়েছিলেন। তিনি সারা জীবন ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের জন্য তার লেখনী অব্যাহত রেখেছেন। তার জীবনের সমস্ত কর্মই ছিল এই বাংলাদেশের জন্য।
তিনি বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদের হঠাৎ করে চলে যাওয়াটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কয়েক দিন আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তার এই চলে যাওয়া একটি বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করল। এই শূন্যতা পূরণ হবার নয়।