আশির দশকের এই ক্রিকেটার বলেছেন, সে সময়টা ছিল বোলিং যুগ। প্রতিটি দলেই বেশ কজন দুর্দান্ত বোলার ছিলেন। তারা ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ছাড়তেন। আর এসব বোলারের মধ্যে ইমরান খান ছিলেন সবচেয়ে কঠিন। মূলত তার রিভার্স সুইংগুলো ছিল গোলকধাঁধার মতো।
সম্প্রতি ভারতের ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পোর্টসক্রীড়াতে এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই ইমরান খানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অরুণ লাল।
তিনি বলেন, ক্রিকেটে রিভার্স সুইংয়ের ধারণাটা যখন শুরু হলো, তখন পাকিস্তানের বোলাররা সবার আগে সেটি ব্যবহার করা শুরু করেন। সেই সময় ইমরানের বলে অনেক বেশি সুইং ধরত। অনেক সময় ব্যাটসম্যান বুঝেই উঠতে পারতেন না, বল কোথায় পড়ে কোথায় ঢুকছে। কখনও কখনও ইমরানের বল এমনই বাঁক নিত যে, ব্যাটসম্যান যে হিসাব করে ব্যাট চালাতেন, বল তার ৬-৮ ইঞ্চি দূরে থাকত!
অরুণ লাল সুইংয়ের ক্ষেত্রে স্বদেশীয় লিজেন্ড কপিল দেব থেকেও ইমরানকে এগিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কপিলও বেশ ভালো রিভার্স সুইং দিতে পারতেন। তবে ইমরান তার চেয়েও ভালো পারতেন।
এমন প্রশংসার ফুলঝুরি বিছিয়েও থামেননি অরুণ। মাঠে ইমরান খানের অধিনায়কত্বের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইমরান শারীরিকভাবে দারুণ ফিট ছিলেন। মাঠে তার চলাফেরার মধ্যে একটা দুর্ধর্ষ ভাব থাকত। মাঠে তার উপস্থিতি, ব্যক্তিত্ব ও বোলিং সব কিছুই ছিল উপভোগ্য। অধিনায়কত্বও করতেন দারুণ। বলতে গেলে '৮২-এর পর থেকে ক্রিকেটে রাজত্ব করেছেন ইমরান।
আশির দশকে ভারতের জার্সিতে খেলেছেন অরুণ লাল। যদিও সংখ্যার বিচারে তা নেহায়েত কম। ১৬ টেস্ট ও ১৩ ওয়ানডে খেলেছেন ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে। তবে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরাদের একজনই মানা হয় তাকে। ক্রিকেটবিষয়ক নানা পরিসংখ্যানে তার বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা অনেক।