এ ধরনের ব্যক্তিদের প্রচুর বই থাকে। সেসব বই তারা সংগ্রহ করে এবং পড়ে। তারা ক্রমাগত তাদের মনকে সমৃদ্ধ করার এবং আরও জ্ঞান অর্জনের উপায় খুঁজে বের করে। তাই প্রতিদিন তারা একটি বা দুটি বই পড়ার অভ্যাস করে। বইয়ের মাধ্যমে তাদের চিন্তার জগৎ আরও প্রসারিত হয়। যে যত বেশি বই আত্মস্থ করতে পারে, সে ততটাই জ্ঞানী হয়ে ওঠে। তাই একজন মানুষের আইকিউ লেভেল কেমন বা সে কতটা বুদ্ধিমান তা তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দিকে তাকালে অনেকটা আন্দাজ করা যায়।
এ ধরনের মানুষেরা সব সময় প্রশ্ন করতে পছন্দ করে। তারা যেকোনো স্থানে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে দ্বিধা করে না। তবে অবশ্যই তারা নিজের সীমা অতিক্রম করে না। অনধিকারচর্চাও করে না। কেবল যেসব প্রশ্নের উত্তর জানলে জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে, সেগুলোই জানতে চায়। একজন মানুষের প্রশ্ন করার ধরন কিংবা কৌতুহলের মাত্রা দেখেও তার বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
যাদের আইকিউ সর্বোচ্চ, তাদের চিন্তা করার পদ্ধতি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। তারা সবসময় একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে সব দিক চিন্তা করে। তারা কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নেয় না। সঠিক তথ্য জানার আগে বা কাউকে বিচার করার আগে ভালো করে জেনে নেয়। তারা সন্দেহ বা আন্দাজ থেকে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বা রায় দেয় না।
বিভিন্ন উপায়ে শেখার চেষ্টা করে-
একজন মানুষের শেখার আগ্রহ দেখে তার আইকিউ লেভেল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বুদ্ধিমান ও উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন মানুষেরা কখনোই একটি জিনিসের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে না। তারা বিভিন্ন জিনিস শেখার জন্য প্রস্তুত থাকে কারণ তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। তারা যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং কখনোই ভয় পায় না। শেখার আগ্রহই তাদের জ্ঞান বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিদিন ধাঁধার অনুশীলন করে-
বুদ্ধিমান মানুষেরা প্রতিদিন তাদের মস্তিষ্কের ব্যায়াম বা ধাঁধা অনুশীলন করে। এটি তাদের মনকে তীক্ষ্ণ রাখে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কাজে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলে। ফলে তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বুদ্ধিমত্তার উন্নতি ঘটে।
চর্চা চালু রাখে-
শেখার কোনো শেষ নেই তাই বুদ্ধিমান ও উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন মানুষেরা কখনো অনুশীলন বা চর্চা বন্ধ করে না। তারা একই কাজ বারবার করে দক্ষতা অর্জন করে। তারা নিরলসভাবে চর্চা চালিয়ে গিয়ে নিখুঁত কিছু করায় বিশ্বাস করে। বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।