প্রতিদিন পাগলা ঘোড়ার মতো পণ্যমূল্য বেড়েই যাচ্ছে। কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না। গত এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আদা, ডাল, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের। কিছু পণ্যের দাম আবার আগে থেকে বেড়ে স্থিতিশীল। সীমাহীন কষ্টে কাটছে নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। দামের বাড়বাড়ন্তে কিছু পরিবার তাদের খাদ্যতালিকা থেকে বেশ আগেই ছাঁটাই করেছেন আমিষের পরিমাণ। এর মধ্যে আবার চোখ রাঙাচ্ছে ডিম-দুধের মতো প্রয়োজনীয় আমিষগুলোর দামও। বাড়তি দামের জন্য ব্যবসায়ীরা দুষছেন আমদানি ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধিকে।
আদার সঙ্গে তাল মিলিয়েছে রসুনও। বাজারে এ পণ্যের দামও বেড়েছে। তবে আমদানি করা রসুনের চেয়ে দাম বেড়েছে দেশি রসুনের। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকা দেশি রসুন এখন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত একমাসের ব্যবধানে প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের দাম কোম্পানিভেদে বেড়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৫০ টাকা। এ নিয়ে চলতি বছর চতুর্থ দফায় বেড়েছে গুঁড়া দুধের দাম। এ বছর মার্চ, জুন ও আগস্টে তিন দফা দাম বেড়েছিল এ নিত্যপণ্যের।
এছাড়া বাজারে গরিবের অন্যতম আমিষের উৎস ডিমের দাম চলতি মাসে আবার বাড়ছে। বড় বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম উঠেছে প্রতি হালি ৪৫ টাকা, যা খুচরা বাজার আর পাড়া-মহল্লার মুদিদোকান থেকে কিনতে লাগছে হালিতে ৪৭ থেকে ৫০ টাকা। কিছুদিন আগেও যা ৩৮ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। এ হিসাবে পণ্যটির দাম মাত্র একমাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এসব বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আমিষজাতীয় খাবারের দাম বেশি বাড়াটা ভিন্ন উদ্বেগের। সেটি পুষ্টিহীনতার শঙ্কার কারণ। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কিছু পণ্যের দাম যৌক্তিভাবে বেড়েছে বেশকিছু কারণে। তবে সে সুযোগ নিয়ে অন্যান্য পণ্যেরও দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বাস্তবে যতটা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি দামে। এছাড়া দেশে কোনো পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ে সেটি পরবর্তীসময়ে সেভাবে সমন্বয় হয় না। দাম কমলেও সেটা বাজারে বাস্তবায়ন করতে চান না কোম্পানি বা বিক্রেতা কেউই।