শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফাইন্যান্স বিভাগের উদ্যােগে ‘পল্লী উন্নয়নে অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েব সেমিনারে (ওয়েবিনার) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ব্র্যাক চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রধান অতিথি ছিলেন চবি ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। শারীরিক অসুস্থ থাকায় ভিসির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আরও বলেন, শুধুমাত্র ফসল ও ক্ষেতের দিকে জোর না দিয়ে কৃষকের স্বাস্থ্য, দক্ষতা এবং শিক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে। সামগ্রিক পল্লী উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পল্লী উন্নয়নের দিকে জোর দিতে হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া তার সঙ্গে খাপ খায় এমন উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। করোনা পরবর্তী গ্রামীন অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি সঞ্চালক হতে পারে। তাই দক্ষতা ও প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট’ বিনিয়োগ করতে হবে।
সাবেক মূখ্য সচিব আবদুল করিম বলেন, গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এখন পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে জোর দেয়ার সময়ে এসেছে। তাই কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও গ্রামীন অর্থনীতিতে ভর্তুকী দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
চবি ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং কনফারেন্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দীন ও চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া। এছাড়া অতিথি হিসেবে সাবেক মূখ্য সচিব এবং পিকেএসএফ এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল করিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী বক্তব্য দেন।
ভার্চুয়াল এই আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও চবি হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন, ভারতের নর্থ ইস্টার্ণ হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জয়নাল উদ্দিন আহমেদ, জাপানের রিটসুমিকান এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনিম কুমার বড়াল, ভারতের মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী ইবাল ম্যালতেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইয়া, ভারতের নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অজিত কুমার রায় প্রমুখ।